সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
চান মিয়া, বিশেষ সংবাদদাতা (সুনামগঞ্জ): দীর্ঘ ১০ বছর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার পর অবশেষে সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ২৪ আগস্ট ত্রিশ কোটি উনপঞ্চাশ লক্ষ পচাঁশি হাজার একশত চুয়াত্তর দশমিক ছয় শূন্য তিন টাকায় মেসার্স জন্মভূমি নির্মাতা অহিদুজজ্জামান চৌধুরী নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এতে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলাবাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সর্বত্র আনন্দের বন্যা বইছে। তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এটির নির্মান কাজ শুরু করা হয়। ৩ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করে নদীর দু’তীরে সেতুটির চারটি (পিলার) স্তম্ভসহ মূল ভিত্তি নির্মাণ শেষে ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকার আমলে কাজটি বন্ধ হয়ে পড়ে। এরপর প্রকল্পটি সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে বাদ দেয়ায় অনেকটাই সেতুর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ২০১০ সালে সেতুটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে ৫১ কোটি টাকার একটি সংশোধিত প্রকল্প যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এ আবেদনের পর আবারো নতুন করে ১শ’ ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৯ টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৬ সলর অক্টোবর মাসে পরিকল্পিত এপ্রোচ ও নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেতু নির্মাণে ১শ’ ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। এতে দু’পারের এপ্রোচের জন্যে ২০ একর ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা শেষে অবশেষে ২৪ আগস্ট সেতু নির্মাণ কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সজিব আহমদ জানান, মূল সেতুর দরপত্র মুল্যায়ন এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পূর্বের ৪টি পিলারের সাথে নতুন ৩টি পিলার সংযোজন করেই সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান। সুরমা সেতুর নির্মাণ পরিকল্পনাও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন বিএনপি সরকার করায় গত তত্ত্বাবদায়ক সরকার এরমধ্যে নানা ত্রুটি ও অসংগতির অভিযোগ এনে একপর্যায়ে প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়। দীর্ঘদিন পর পুন:রায় প্রকল্প কাজ শুরু হওয়ায় ছাতক-দোয়ারাবাজারবাসি এখন তাদের স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায় প্রহর গুনছে। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও মুহিবুর রহমান মানিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দু’উপজেলাবাসির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।